জেনে নিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি নিয়ে কিছু তথ্য

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। মহান আল্লাহর রহমতে আমিও ভাল ও সুস্থ আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এডমিশন সংক্রান্ত কিছু তথ্য। আপনি যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ইন্ট্রোডাকশন বা ভূমিকা

আমরা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বেশ কয়েকটি টপিক নিয়ে আলোচনা করব। তা আপনি যদি এই সমস্ত কিছু বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তো আমরা বেশি বকবকানি না করে আমরা চলে যাব জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল টপিকে তো চলুন শুরু করা যাক।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কি?

আমরা সকলেই জানি আমাদের দেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তারপর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। তারপরে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। পারে ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় বা আপনারা সরাসরি কলেজ বলতে পারেন এগুলো রয়েছে তো আমরা বেসিকালি গুলো থেকে বুঝতে পারি। এটা আমাদের একটি এডুকেশন সিস্টেম। যেখানে আমরা বিভিন্ন সেক্টরে লেখাপড়া করতে পারি। লেখাপড়া করে বর্তমানে বেশ কিছু সেক্টর রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মূলত অনার্স করানো হয় বা ডিক্রি করানো হয় অর্থাৎ আপনি এইচএসসি লেভেলের পরি পড়ালেখা বা এ ধরনের জিনিস আছে এগুলা কিন্তু আপনাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়।

অর্থাৎ আপনারা প্রথমে যখন ওয়ান থেকে 5 পর্যন্ত পড়বেন তখন সেটা কি আমরা কিন্তু প্রাইমারি স্কুল বলে। তারপর আমরা যখন সিক্স থেকে টেন পর্যন্ত পড়ি তখন আমরা সেটাকে বলেই হাই স্কুল এবং আমরা যখন একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণি পড়ি আমরা সেই প্রতিষ্ঠানকে বলি কলেজ। ঠিক একই ভাবে আমরা যখন অনার্স করব বা ডিউটি করব তখন কিন্তু আমাদেরকে যে এই প্রতিষ্ঠানে পড়তে হবে। সেই প্রতিষ্ঠানের নাম হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয় এর বিভাগ সমূহ

বিশ্ববিদ্যালয় বেশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। তার মধ্যে অন্যতম দুটি হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যটি হচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। সেটকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোচনা করবো না আমরা আজকে মূলত আলোচনা করব জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে তারাই ভর্তি হয়ে যারা মূলত পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পায়না। কেন আমাদের দেশে পাবলিক ভার্সিটির সংখ্যা কিন্তু খুবই সীমিত এবং সেখানে আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ার কারণে সেখানে সমস্ত দেশের শিক্ষার্থীদের তো চান্চ হওয়া অসম্ভব।

সেজন্য আমাদের আরেকটি পড়ালেখার যেটা আছে সেটা হচ্ছে গিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ আমরা অনার্স করার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়ে থাকি। আমরা যারা ভাগ্যক্রমে রেজাল্ট একটু খারাপ করি অথবা যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়না তারা কিন্তু আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়ে এবং অনার্স কমপ্লিট করি অনার্স মূলত আমরা যেকোনো একটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কমপ্লিট করে থাকি। সেটা হোক জীববিজ্ঞান বিষয় বা বাংলা বা ইংরেজি যে কোনো বিষয়ে।

অর্থাৎ আমরা যেকোনো একটি স্পেসিফিক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে অনার্স এ ভর্তি হয়ে বিভিন্ন স্পেসিফিক বিষয়ের উপর ভর্তি আবেদনের জন্য আবার বিভিন্ন ধরনের রিকোয়ারমেন্ট থাকে। ভর্তির জন্য আবেদন করার সর্বনিম্ন যে পয়েন্ট গুলো রয়েছে সেগুলো আপনাদের পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভ্যারি করে। অর্থাৎ আপনারা কোন সাবজেক্টের উপর করতে চাচ্ছেন বা কোন সেক্টর থেকে এসেছেন

ভর্তি আবেদনের জন্য পয়েন্ট

এগুলোর উপর ভিত্তি করে কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পয়েন্টগুলো নির্বাচন করা হয় বা আপনার সর্বনিম্ন কত পয়েন্ট হলে আপনি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন সেই সম্পর্কে জানানো হয় তুই। তো আসলে 1-1 বছর একেক রকম হয় এটা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। কেননা প্রতিবছর এই পয়েন্টটা কিন্তু তুলনামূলকভাবে কিছুটা ওঠানামা করে সেটা আসলে নির্ভর করে বর্তমানে ধরেন এই বছরে কথা যত চিন্তা করেন সেই ক্ষেত্রে আসলে এই বছর পরীক্ষায় হয়নি আমাদেরকে অটো প্রমোশন’ দেওয়া। তো যাই হোক এভাবে কিন্তু আসলে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভেরি করে।

যে কিভাবে কত পয়েন্টে আপনার ভর্তি হতে পারবেন বিস্তারিত। শুভর জন্য আসলে অনেক প্রকার বিষয় থাকে এগুলো নিয়ে আমরা অন্য কোনদিন আলোচনা করব। তবে আজকে আমাদের আলোচনার যে পিকটা ছিল সেটা হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সরাসরি আপনারা সম্পর্কে মোটামুটি ভাবে ধারণা পেয়ে গেছেন। এরপর যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে সে ক্ষেত্রে আমাদের কে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমরা সেটার উত্তর দে আপনাদেরকে হেল্প করব।

আরো কিছু কথা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আরেকটি কথা বলে নেই আমাদের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায় এক বা একাধিক করে কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। আবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু সরকারী এবং বেসরকারী রয়েছে। যদি আমরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেয়ে তার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যেগুলো আছে সেগুলো সরকারি আওতাধীন গুলা তে চান্স না পেলে কিন্তু আমরা বেসরকারি কলেজে ভর্তি হতে পারব। সেটা আসলে আমাদের উপর ভিত্তি করে। কেননা বিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার জন্য আমাদেরকে মূলত পয়েন্ট ভালো বা মোটামুটি ভালো থাকতে হয় এবং পয়েন্ট থাকার পর আমাদেরকে কিন্তু অনেক কম্পিটিশন এর মধ্যে দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে তারপর একটি ভার্সিটিতে চান্স পেতে হয়।

এবং ভার্সিটিতে উল্লেখিত পরীক্ষায় ভালো হওয়ার পর আমাদেরকে ভাইভা দিতে হয়। এবং এভাবে কিন্তু বেশ কয়েকটি টাস্ক পুরন করার মাধ্যমে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে পারি। আপনার বুঝতে পারতেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হব, কিন্তু মোটামুটি অনেক টাফ ব্যাপার। কেননা অনেক ছাত্র ছাত্রীদের উপর টেক্কা দিয়ে বা তাদের উপর দিয়ে পার হয়ে ভালো রেজাল্ট করে আপনাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে হবে। যদি ভাইবাতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নাটিকেল সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনারা ভর্তি হতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে আপনার মোটামুটি একটু ভালো মানের রেজাল্ট করার চেষ্টা করবেন। অর্থাৎ ভালোভাবে পড়াশোনা করবেন। এবং ভাইভাতে ভালো করার চেষ্টা করবেন। তাহলে কিন্তু আপনারা খুব সহজেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে যাবেন। আজকের আলোচনা এতোটুকুই ছিলো। আশা করি আপনাদের উপকারে এসেছে। সবাই আমাদের পাশে থাকবেন আশা করি। সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন। আসসালামু আলাইকুম।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
x