স্কুল কলেজ কবে খুলবে? কি বললেন শিক্ষামন্ত্রী?

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। মহান আল্লাহর রহমতে আমিও ভাল ও সুস্থ আছি। আজকের এই পর্বে আমরা আলোচনা করব আমাদের স্কুল কলেজ কবে খুলবে বিষয় নিয়ে। আমাদের স্কুল কলেজ কবে নাগাদ খুলতে পারে এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব আপনাদের সাথে।

স্কুল কলেজ কবে থেকে বন্ধ?

আমরা যারা শিক্ষার্থী রয়েছি এবংকি আমাদের দেশের সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত আমরা সবাই জানি যে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিন্তু দীর্ঘ 16 মাস যাবত বন্ধ রয়েছে। গত বৎসর এপ্রিলের 1 তারিখ থেকে কিন্তু আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। তো এমন অবস্থায় আমাদের শিক্ষার্থীরা কিন্তু ক্লাস করতে পারছেনা। এমন পরিস্থিতির কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা আজ স্কুল কলেজে গিয়ে উপস্থিত হয় ক্লাস করতে পারছে না।

যার বিকল্প হিসেবে কিন্তু আমাদের অনেক কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সো আপনারা যদি আসলে জানতে চান যে স্কুল কলেজ কবে থেকে বন্ধ হয়েছে তাহলে আমি বলবো 2020 সালের পহেলা এপ্রিল থেকে বাংলাদেশের করোনাভাইরাস এর জন্য লকডাউন শুরু হয় এবং সেই লকডাউন থেকে আমাদের স্কুল-কলেজসহ সমস্ত প্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ 2020 সালের পহেলা এপ্রিল থেকে আমাদের স্কুল-কলেজসহ সমস্ত প্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে?

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সঠিক কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। বর্তমানে আমি আপনাদেরকে সঠিকভাবে কিছু বলতে পারব না। তবে বর্তমান সময় পর্যন্ত আমরা যে আপডেট গুলো পেয়েছি তার উপর ভিত্তি করে আমরা একটি অনুমান করেছি এবং সেই অনুমান অনুযায়ী আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব। স্কুল কলেজ বর্তমান ভিত্তিতে 2021 সালে খোলা সম্ভাবনা খুবই কম মাত্রায় রয়েছে। কেননা আপনারা সবাই দেখতে পাচ্ছেন বর্তমানে করোনার যে ভারতীয় ভেরিএন্টটি রয়েছে সেটি কিন্তু বাংলাদেশে অধিক মাত্রায় ছড়িয়ে যাচ্ছে।

অর্থাৎ বলতে পারেন আপনারা যে ভারতের করোনা ভেরিএন্ট ভাইরাসটি রয়েছে সেটা কিন্তু অনেক মাত্রায় আমাদের দেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে। বরাবরের মতো আমাদের শহরাঞ্চলে করোনাভাইরাস ছড়ালেও এবার কিন্তু সেটার বিপরীত দিক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবার কিন্তু তুলনামূলকভাবে গ্রামাঞ্চলেও অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এবং আমাদের বেশ কয়েকটি বিভাগের সংক্রমণের হার কিন্তু 40 থেকে 50 শতাংশ পৌঁছে গেছে এবং 2021 সালের আজকের এই আর্টিকেলটি লিখতেছি এই দিনে অনেক সীমান্ত অঞ্চলে কিন্তু সংক্রমণের হার আক্রান্তের হার 100% হয়ে গেছে। স্কুল কলেজ কবে খুলবে?

কেননা আজকে কিছু এলাকায় যতগুলো নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তারা সবাই কিন্তু পজিটিভ হয়েছে অর্থাৎ তারা সবাই কিন্তু করনা পজেটিভ। এখন যে করোনাভাইরাস কিন্তু অধিক মাত্রায় আমাদের এলাকা গুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। তো এই অবস্থায় কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া কোন ভাবেই সম্ভব নয়। আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে এবং আমাদের দেশের যে বিশেষজ্ঞ জ্ঞানী গুণী লোকের রয়েছে তারা বলেছেন করোনা সংক্রমনের হার 5% বা 5 শতাংশের নিচে নামার আগ পর্যন্ত স্কুল কলেজ গুলো খুলে দেওয়া হবে না।

করোনাভাইরাস এর বর্তমান ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে এই ঊর্ধ্বগতির কারণে আমরা বলতে পারি যে আপাতত 2021 সালে স্কুল কলেজ খোলার সম্ভাবনা খুবই খুবই খুবই কম। এভাবে ঊর্ধ্বগতিতে থাকলে তো স্কুল কলেজ খোলার কোনো সম্ভাবনাই নেই। কেননা আগেই বলা হয়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার 5% এর নিচে না নামলে কিন্তু স্কুল কলেজ খোলা হবে না। এমন অবস্থায় দেখা যাচ্ছে যে হারে বাড়ছে সেই হারে যদি এটাকে ঠেকানো না যায় এবং কি যদি আমাদের ভ্যাকসিন বা টিকা ব্যবহার শুরু না হয় বা ভ্যাকসিন এর সঠিক আবিষ্কার না হয় সেই ক্ষেত্রে কিন্তু আমাদের স্কুল কলেজ খুলে দাও কোনভাবেই সম্ভব না।

তো সে দিক থেকে বিবেচনা করলে আমাদের স্কুল কলেজ করতে আপাতত কম করে হলেও আরও ছয় থেকে সাত মাস সময় লাগবে। সেজন্য আমাদেরকে সবাই বাসায় থাকতে হবে এবং প্রয়োজনের বাইরে গেলে সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে মাক্স পড়তে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এখন হয়তো আপনারা বুঝতেই পারছেন যে স্কুল-কলেজ 2021 সালে খোলাটা মোটামুটি অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

স্কুল কলেজ খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রী কি বলেন

আমরা সকলেই জানি 2020 সালের পহেলা এপ্রিল থেকে আমাদের সমস্ত প্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। আমাদের করোনার যে সংক্রমণ সেটি কিন্তু বর্তমানে 20 থেকে 30 শতাংশ বা এর উপরে চলে গিয়েছে। এমন অবস্থায় যদি চলতে থাকে তাহলে আমাদের দেশে একই পরিস্থিতি হবে। আমরা সেটা অবশ্যই আমজাদ করতে পারতেসি। আমাদের পার্শবর্তি দেশ হচ্ছে ভারত। পার্শবর্তি দেশ ভারতে কিন্তু কিছুদিন আগে বা বলতে পারেন এখন পর্যন্ত এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যেখানে হাসপাতালের বেড নেই। এমনকি হাসপাতালে যে ফ্লোর রয়েছে সেখানে জায়গা হচ্ছে না।

লোকজন রাস্তায় রাস্তায় চিকিৎসা নিচ্ছে। ভারতের কিন্তু অক্সিজেন বিশাল মাত্রায় অক্সিজেন কম পড়েছিল বা বলতে পারেন যে অভাব ছিল। যেটা কিন্তু বর্তমানেও চলমান রয়েছে। লিকুইড অক্সিজেনের অভাবের কারণে কিন্তু ভারতে হাজার হাজার মানুষ মারা গিয়েছে। এটা হচ্ছে ভারতের ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এর একটি আতঙ্ক বা বলতে পারেন করোনা তৃতীয় ঢেও। ঠিক এই ভারতের ভ্যালেন্টি কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের ছড়িয়ে পড়েছে। যার কারণে কিন্তু আমাদের বাংলাদেশেও সংক্রমণের হার এবং মৃত্যুর সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। স্কুল কলেজ কবে খুলবে?

এমন অবস্থায় কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া কোনভাবেই সম্ভব না। আমাদের যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় রয়েছে এবং কি জ্ঞানীগুণীরা বলেছেন যে করোনা সংক্রমনের হার 5% এর নিচে নামলে কিন্তু আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। কেননা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কারণে কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে একত্রিত হবে এবং কি তাদেরকে কিন্তু সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে যে করোনার যে ভারতে ভেরিয়েন্ট সেটির সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য কিন্তু পুনরায় আমাদের বাংলাদেশে কারফিউ বা লকডাউন জারি করা হয়েছে। যেখানে কিন্তু খুব নির্দিষ্ট মাত্রায় চলাফেরা করতে পারছে মানুষজন।

দোকানপাটও কম কম পরিমাণ খোলা হচ্ছে। তো এমন অবস্থা যদি চলতে থাকে তাহলে খুব শীঘ্রই আমাদেরকে পূর্ণাঙ্গ লকডাউনের মধ্যে দিয়ে পার হতে হবে। যেটা 2020 সালের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত চলেছিল অর্থাৎ এই সময়টাতে আমাদেরকে পূর্ণাঙ্গভাবে লকডাউন পালন করতে হবে বা বলতে পারেন যে লকডাউনে আটকে থাকতে হবে। কেননা আমাদের এছাড়া আর কোন উপায় নেই। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের লেখাপড়া সমস্ত টাই ভেঙে পড়েছে। স্কুল কলেজ কবে খুলবে?

স্কুল কলেজ খোলার বিষয়ে আমাদের শিক্ষা মন্ত্রী বলেছেন শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিতে ফেলে কোন প্রকার কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না এবং করোনাভাইরাস এর কোন সঠিক ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কে ঝুঁকিতে ফেলে স্কুল-কলেজ খুলে সেখানে ক্লাস করানো হবে না। এখান থেকে আমরা বুঝতেই পারলাম যে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত কোন ভাবে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হবে না। এই বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন আমাদের শিক্ষা মন্ত্রী।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস করানোর বিকল্প পদ্ধতি কি?

আমরা সকলেই জানি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এর কারণে কিন্তু আমাদের বেশ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া থেকে দূরে থাকার কারণে বিভিন্ন অনলাইন গেমস নেশায় আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। মোবাইলের নেশায় পড়ে যাচ্ছে। অনেকেই মাদকের নেশায় পড়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় কিন্তু আমাদেরকে অবশ্য একটি বিকল্প ব্যবস্থা করা উচিত। এই জন্য আমাদের সরকার বা আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কিন্তু আমাদেরকে বেশ কয়েকটি পদ্ধতিতে শিক্ষা ব্যবস্থার মূল্যায়ন করা হয়েছে

যেমন আমাদেরকে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন ভাবে যেমন জুম আা গুগোল মিট এ গুলোর মাধ্যমে কিন্তু আমাদেরকে ক্লাস করানো হচ্ছে। অনলাইন ভিত্তিক যে যার শিক্ষা প্রতি স্থান গুলো রয়েছে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইটেও কিন্তু অনলাইনে ক্লাস করানো হচ্ছে। অনলাইনে লাইভ ক্লাস করানো হচ্ছে। শিক্ষক লাইভ ক্লাস করাচ্ছে এবং আমরা বাসায় বসে শিক্ষকের সাথে কমিউনিকেশন করে কিন্তু ক্লাস গুলো কমপ্লিট করতে পারছি। ঠিক একইভাবে অনেকের কাছে ইন্টারনেট নেই কিন্তু টিভি রয়েছে। তো সেই ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে টিভিতেও কিন্তু আমাদেরকে মোটামুটি ভাবে রেগুলার ক্লাস করানো হচ্ছে। স্কুল কলেজ কবে খুলবে?

ঠিক তেমনভাবে কিন্তু বর্তমানে আমাদেরকে শিক্ষা ব্যবস্থায় আরো মনোযোগী রাখার জন্য এসাইনমেন্ট এর মাধ্যমে মূল্যায়ন করা শুরু হয়ে গেছে। সরকার প্রতি সপ্তাহে একটি করে এসাইনমেন্ট দিচ্ছে এবং সেই অ্যাসাইনমেন্ট এর সমাধান করতে হচ্ছে আমাদেরকে। আমরা এখন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান করে সেটা কিন্তু আমাদের স্কুল কর্তৃপক্ষের বা কলেজে শিক্ষক রয়েছে তাদের কাছে জমা দিচ্ছি। একইভাবে দেখা যাচ্ছে যে সরকার প্রতি সপ্তাহে আমাদেরকে এসাইনমেন্ট দিচ্ছে এবং প্রতিমুহূর্তে দিয়ে চলেছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে সরকার আমাদেরকে লেখাপড়ায় ধরে রাখার জন্য অনেক প্রকার চেষ্টা করছে।

আমাদেরকে কি করতে হবে এই সময়?

আমাদেরকে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে, আমাদেরকে এসাইনমেন্ট এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় আটকে রাখার চেষ্টা করছে, যাদের কাছে ইন্টারনেট নেই তাদেরকে টিভির মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার চেষ্টা করছে, সেই থেকে বোঝা যায় সরকার আমাদেরকে কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষার মাঝখানে আটকে রাখার জন্য অনেক চেষ্টাই করছে। এরপর থেকে আমাদের উপর কথা। অবশ্যই আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে। যেমন আমাদের অনলাইন কাজগুলো তো ঠিকমতো উপস্থিত হতে হবে। শিক্ষকদের সাথে কমিউনিকেশন তৈরি করতে হবে। তারপর আমাদের কে অ্যাসাইনমেন্ট গুলো ডাউনলোড করে সেগুলো ঠিকঠাকমতো উত্তর প্রদান করতে হবে।

এরকম ভাবে কিন্তু আমরা শিক্ষকদের সাথে এবং শিক্ষার সাথে কিন্তু একটি কমিউনিকেশন গড়ে তুলতে পারব। আমার শিক্ষার মধ্যে আটকে থাকতে পারব এবং আমাদের যে শিক্ষার বা জ্ঞান অর্জনের দিকে রয়েছে সেটি কিন্তু শতভাগ সফল ভাবে চলতে পারবো। আমি আপনাদেরকে সবাইকে বলব আপনারা অনলাইনভিত্তিক ক্লাস গুলো করবেন, অনলাইন ক্লাসে উপস্থিত হবেন, অ্যাসাইনমেন্ট গুলো ঠিকমতো সম্পন্ন করবেন এবং এভাবে আপনার পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন।

Categories Uncategorized

Leave a Comment

x