আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। মহান আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকের এই পর্বে আমরা আলোচনা করব উপবৃত্তির আবেদন করার সঠিক নিয়ম নিয়ে। অর্থাৎ কিভাবে আপনারা উপবৃত্তির আবেদন করতে পারবেন এই সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তো চলুন শুরু করা যাক।
উপবৃত্তি কি?
আমরা যারা শিক্ষার্থী রয়েছি প্রায় সকল শিক্ষার্থী উপবৃত্তি নামটির সাথে পরিচিত। কেননা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষা জীবনের নির্দিষ্ট কোন সময় একবার হল আমরা উপবৃত্তির নামটি শুনেছি। আমরা যারা সরকারি স্কুলে বা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি কলেজে লেখাপড়া করি তারা বিশেষ করে উপবৃত্তির সাথে আরো বেশি ভাবে জড়িত বা কথাটি শুনেছি। তাছাড়া যারা বেসরকারি স্কুলে পড়ে তারা হয়তো নাম শুনেছে কিন্ত কখনো উপবৃত্তি তারা পায়নি। উপবৃত্তিকে একটি সরকারি অনুদান বলতে পারেন। যেটা শিক্ষার্থীদের কে দেওয়া হয় সরকার থেকে।
একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে হতদরিদ্র বা কোন অচল শিক্ষার্থী রয়েছে বা গরীব শিক্ষার্থী রয়েছে অথবা প্রতিবন্ধী কোন শিক্ষা রয়েছেন তাদেরকে কিন্তু সরকারী ভাবে সহায়তা প্রদান করা হয়। আর এই সহায়তা প্রদান করার নামই হচ্ছে মূলত উপবৃত্তি। গরীব অসহায় দুস্থ শিক্ষার্থীদের কে সরকার থেকে যে অনুদান দেয়া হয়। সেটা কেই মূলত উপবৃত্তি বলা হয়। তবে এখানে বলে রাখা ভালো এই অনুদান টা কিন্তু বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা পায় না। কেননা বেসরকারি স্কুলগুলোর সরকারের আওতাধীন না হওয়ায় সেখান থেকে তাদের কোনো রিকোয়ারমেন্ট কিন্তু সরকার পায় না। উপবৃত্তি আবেদন করার সঠিক নিয়ম জেনে নিন।
যার কারণে সরকার বেসরকারি স্কুলগুলোতে কিন্তু উপবৃত্তি প্রদান করে না। আর যারা বেসরকারি স্কুলে পড়তে পারে তাদের উপবৃত্তি প্রয়োজন নাই। কেননা বেসরকারি স্কুলে পড়তে গেলে অনেক টাকা খরচ করে তারপর লেখাপড়া করতে হয়। আর যারা এত টাকা খরচ করে একটি বেসরকারি স্কুলে পড়তে পারে তাদের কিন্তু আসলে উপবৃত্তির দরকার নেই। সেজন্য কিন্তু সরকার বেসরকারি স্কুলগুলোতে বা বেসরকারি কলেজগুলোতে কিন্তু উপবৃত্তি দেয় না। এই কারনেই বেসরকারি গুলোতে দেওয়া হয় না।
এমনকি আমাদের যে সরকারি স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলো আছে এগুলোতে কিন্তু অনেক গরিব অসহায় দরিদ্র মানুষ ভর্তি হয়। তাদের খরচ চালানোর জন্য সরকার কিন্তু উপবৃত্তি দিয়ে থাকে। এবং সরকারি জন্য সরকারি স্কুলগুলোতে আধা-সরকারি যে এমপিওভুক্ত স্কুল খোলা আছে সেগুলোতে কিন্তু অনুদান নামের উপবৃত্তি দিয়ে থাকে। আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন যে উপবৃত্তি আসলে কি? উপবৃত্তি হচ্ছে সরকার কর্তৃক দেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনুদান।
উপবৃত্তি কেন দেওয়া হয়?
আমরা আগেই বললাম যে আমাদের যে সরকারি স্কুল গুলো আছে সেখানে অনেক গরিব ছাত্র, অসহায় ছাত্র এবং বিভিন্ন প্রতিবন্ধী ছাত্র কিন্তু ভর্তি হয়ে থাকে। সরকারি স্কুল যেহেতু ভাল সেহেতু সেখানে সমস্ত প্রকার শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারে। ভর্তি হওয়ার পর সরকার থেকে সে গুলোকে কিন্তু একটি সহায়তা দেয়া হয়। যারা সহায়তা পাওয়ার যোগ্য সেই টাকাটা তারা লেখাপড়ার পেছনে খরচ করবে এরকম লোকদেরকে কিন্তু সরকারি ভাবে সহায়তা দেয়া হয়। যেটা আমরা উপবৃত্তি হিসেবে জানি। উপবৃত্তি টা দেয়া হয় গরিব অসহায় এবং হতদরিদ্র এবং প্রতিবন্ধী ছাত্রদের জন্য। কারণ এরা এইট উপবৃত্তির টাকা টা দিয়ে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম মোটামুটি ভাবে চালিয়ে নিতে পারে। উপবৃত্তি আবেদন করার সঠিক নিয়ম জেনে নিন।
যার কারণেই কিন্তু সরকার এদেরকে উপবৃত্তি দিয়ে থাকে। উপবৃত্তি দেওয়ার মূল কারণ হচ্ছে গরীব অসহায় হতদরিদ্র মানুষের জান্য লেখাপড়া করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশের এমন অবস্থা হয়ে গেছে যারা উপবৃত্তি পাওয়ার যোগ্য তাই উপবৃত্তি পায় না আর যাদের উপবৃত্তি পাওয়ার কোন যোগ্যতা নেই তারাই দেখা যায় যে সারা বছর উপবৃত্তি পেতে থাকে। এটা কিন্তু আসলে ঠিক না। আপনার সামর্থ্য আছে লেখাপড়া করার মতো বা পরিবারের চালানোর মতো তো এই জায়গায় আপনার উপবৃত্তি নেওয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না। আপনি যদি উপবৃত্তি নিয়ে নেন তখন প্রকৃত অর্থেই যার দরকার সে কিন্তু উপবৃত্তি টা পাবে না। কারণ তার হয়ে কিন্তু আপনি নিয়েছেন। উপবৃত্তি আবেদন করার সঠিক নিয়ম
আবেদন করার আগে অবশ্যই ভেবে চিন্তা আবেদন করবেন। উপবৃত্তির জন্য আপনার যদি আসলেই প্রয়োজন হয়, আপনি যদি একদম গরিব পরিবার থেকে হয়ে থাকেন বা আপনি কোন সমস্যার মধ্যে পড়েছেন এরকম হয় বা আপনি লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারছেন না আপনি প্রতিবন্ধী এই টাইপের হয় সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি মোটামুটি সচ্ছল থাকেন সেই ক্ষেত্রে আসলে উপবৃত্তির আবেদন না করাটাই বেটার। কারন আপনি উপবৃত্তির আবেদন না করলে যারা প্রকৃত পাওয়ার যোগ্য তারা কিন্তু উপবৃত্তি পাবে। তো এখন হয়তো আপনারা বুঝে গেছেন যে উপবৃত্তি আসলে কেন দেওয়া হয়। উপবৃত্তি দেওয়া হয় গরীব, অসহায়, দুঃস্থ, মানুষদের। তাদের লেখাপড়ার সঠিকভাবে চালিয়ে নেওয়ার জন্য।
উপবৃত্তি কাদের জন্য?
উপবৃত্তি হচ্ছে সরকার থেকে কিছু নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীদের কে অনুদান দেওয়া। সবাইকে কিন্তু সরকার থেকে উপবৃত্তি বা অনুদান দেওয়া হয় না। এই উপবৃত্তি পাওয়ার যোগ্য হচ্ছে গরিব শিক্ষার্থী, অসহায় শিক্ষার্থী, তারপর আপনার যারা প্রতিবন্ধী রয়েছে তাদেরকে কিন্তু সরকার থেকে একটি অনুদান দেওয়া হয়। যেটাকে আমরা উপবৃত্তি নামে চিনে থাকি। আমরা যখন কোন বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি আমাদের ক্লাস ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত একটি বিদ্যালয় পড়ি তারপর সিক্স থেকে টেন পর্যন্ত একটি বিদ্যালয় পড়ি তারপর একাদশ দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় পড়ি এবং ভার্সিটি লেভেলে অন্য একটি ভার্সিটিতে পড়ি। তো এখানে দেখা যাচ্ছে যে ক্লাস সিক্সের যারা ভর্তি হয় নতুন তাদের মধ্যে স্কুল থেকে কিন্তু বাছাই করা হয়।
যে কারা উপবৃত্তির জন্য যোগ্য। যদিও প্রথমত সবাইকে উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে বলা হয় এবং উপবৃত্তির আবেদন এর ফরম দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষকরা কিন্তু সবাইকে উপবৃত্তি ফরম সিলেক্ট করে না। সিলেক্ট না করার অন্যতম কারণ হচ্ছে সবাই কিন্তু উপবৃত্তি পাওয়ার যোগ্য না। কেননা সবাই উপবৃত্তি পাবে না। এটাই স্বাভাবিক। যাদের সামর্থ্য আছে যারা ঠিকমত চলতে পারে তাদেরকে কিন্তু উপবৃত্তি দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আর যারা গরীব, অসহায় শিক্ষার্থী আছে বা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য কিন্তু মূলত সরকারি অনুদান টা প্রয়োজন। তো শিক্ষক সবার আবেদন পাওয়ার পর সে আবেদনপত্রগুলো চেক করে। উপবৃত্তি আবেদন করার সঠিক নিয়ম
সেখান থেকে সত্যিকার অর্থে যারা গরীব অসহায় দুস্থ বা প্রতিবন্ধী তাদেরকে কিন্তু অনুদান বা উপবৃত্তি দেওয়ার জন্য সিলেক্ট করে একটি লিস্ট তৈরি করে। সেই লিস্ট তৈরি করার পর কিন্তু সরকারের নিকট দিয়ে দেয় এবং সেই লিস্টে যারা সিলেক্ট হয় তাদের বিকাশ, রকেট, নগদ, ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার, কিন্তু সেই আবেদনপত্রের সাথে দিয়ে দেয়া হয়। যার কারণে কিন্তু সরকার থেকে সরাসরি শিক্ষার্থীদের নিকট অনুদান পৌঁছে দেয়া হয়। সেভাবে কিন্তু একজন শিক্ষার্থী অনুদান পেয়ে থাকে। তো আপনারা বুঝতে পারছেন যে উপবৃত্তি কিন্তু সবার জন্য নয়। উপকৃত হচ্ছে শুধুমাত্র গরীব অসহায় দুস্থ এবং প্রতিবন্ধী এই ধরনের মানুষদের জন্য। আমরা যারা সুস্থ সবল এবং কি মোটামুটি চলতে পারি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
তাদেরকে কিন্তু উপবৃত্তি পাওয়ার যোগ্য না। আমি রিকুমেন্ট করব আপনারা যারা ভাল মানুষ আছেন মোটামুটি ভাবে চলতে পারেন কোন সমস্যা নেই তারা উপবৃত্তির আবেদন করবেন না। আপনাদের সহপাঠী যারা গরীব অসহায় অসুস্থ আছে তাদেরকে উপবৃত্তির জন্য এপ্লাই করতে সহযোগিতা করবেন। তারা যদি উপবৃত্তি পায় সেটা কিন্তু অনেক খুশির একটা ব্যাপার হবে আপনার জন্য বা আপনার সহপাঠী জন্য। কারণ আপনি চলতে পারেন আপনার সহপাঠী কিন্তু ঠিকমত চলতে পারতেছে না। তো এখন যদি সরকারের অনুমোদন পেয়ে ভালোভাবে লেখাপড়া টাকা করতে পারে সেটা আপনার জন্য একটি খুশির খবর। আপনারা সবাই একসাথে মিলে লেখাপড়া শেষ করতে পারলেন। উপবৃত্তি আবেদন করার সঠিক নিয়ম জেনে নিন।
কিন্তু আপনারা যারা সুস্থ-সবল স্বাভাবিক মানুষ আছেন তারা কিন্তু উপবৃত্তির জন্য এপ্লাই করবেন না। আপনাদের যারা প্রকৃত উপবৃত্তি দরকার আপনারা তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদেরকে উপবৃত্তির আবেদন করার জন্য উৎসাহিত করবেন। এতে করে একজন মানুষ উপবৃত্তি পাওয়ার দরকার সে কিন্তু উপবৃত্তি পেয়ে যাবে।
উপবৃত্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া কি?
আমরা এতখন জানলাম উপবৃত্তি কি? উপবৃত্তি কারা কারা পাবে? বা উপবৃত্তি কাদের জন্য। কিন্তু এখন কথা আছে যে উপবৃত্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া টা কি? অর্থাৎ কিভাবে সরকার থেকে সরাসরি আমরা উপবৃত্তি পাই বা পেতে পারি। এই প্রক্রিয়াটি আসলে কি? এটা নিয়ে আমি আপনাদের সাথে এখন আলোচনা করবো। সর্বপ্রথম আমাদেরকে যখন উপবৃত্তির জন্য স্কুল বা কলেজ থেকে ফ্রম দেয়া হয় আমরা সেই ফর্মটা কিন্তু নিয়ে পূরণ করি এবং তারপর সেটাকে আমাদের স্কুল কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দেয়। আমাদের স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা কিন্তু আবেদনপত্রটি ভেরিফাই করে। যে আসলে ও আপনি পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন কিনা।
আপনি যদি পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন উপবৃত্তি তখন কিন্তু শিক্ষকরা আপনাকে সিলেক্ট করে দেবে অর্থাৎ শিক্ষকদের যে সেলেক্টলিস্ট থাকবেমউপবৃত্তির জন্য। সেই লিস্টটা কিন্তু যারা যারা সিলেক্ট হয়েছে তাদের মোবাইল নাম্বার এবং মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট নাম্বার নিয়ে রাখবে। আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন উপবৃত্তি ফরম এর মোবাইল নাম্বার ও দিতে হয়। আপনার মোবাইল নাম্বারটা দিবেন। তাহলে কি হবে? এরপর আপনি যদি সিলেক্ট হন মানে শিক্ষকরা সিলেক্ট করলে যদি আপনার নাম এবং মোবাইল নাম্বার থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি উপবৃত্তি পেয়ে যাবেন। এরপর কি করা হয়? এই যে সিলেক্ট করা উপবৃত্তির লিস্ট করা হলো সেই লিষ্ট কিন্তু সরাসরি শিক্ষা বোর্ডের নিকট পৌঁছে দেয়া হয়। উপবৃত্তি আবেদন করার সঠিক নিয়ম জেনে নিন।
মাঝে আরও বেশ কয়েকটি ধাপ আছে। যা কোন সাধারণ মানুষের না জানাই ভাল। সরাসরি বলতে গেলে শিক্ষক থেকে বোর্ড পর্যন্ত এগুলো পৌঁছে যায়। বোর্ড কর্তৃক ভেরিফাই এরপর এগুলো কিন্তু অনুদানের জন্য ট্রানস্ফার করে দেওয়া হয়। যখন বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন ভেরিফাই করে টান্সফার করা হয় অনুদানের আবেদন পত্র গুলো তখন এক প্রকার নিশ্চিত থাকা যায় যে আপনি আবেদনপত্রটি সাকসেস ভাবে করতে পেরেছেন এবং আপনি অনুদান টি পাবেন।
অনুদান টি আপনার পর্যন্ত কিভাবে আসবে?
ওই যে অনুদান আপনার মোবাইল ব্যাঙ্কিং নাম্বার যেমন বিকাশ, রকেট, নগদ, শিওর ক্যাশ এর যেকোনো একটি দিয়ে দিয়েছেন সেই অ্যাকাউন্ট নাম্বারে আপনি যদি ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার দিয়ে থাকেন বা তাহলে সমস্যা নেই। সরকার যখন অনুদান দেবে তখন কিন্তু আপনাদের কে অনুদান টি দিয়ে দিবে। তখন সরকার কর্তৃপক্ষ থেকে আর কোন মাধ্যমে আসবে না। সরাসরি সরকার কর্তৃপক্ষ থেকে আপনার মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আপনি যে নাম্বার দিয়েছেন সেটাতে কিন্তু ট্রানস্ফার করে দেওয়া হবে। উপবৃত্তি আবেদন করার সঠিক নিয়ম জেনে নিন।
সেটা নিয়ে আপনার কোন চিন্তার কারন নাই। আপনি যদি সিলেক্ট হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে সরাসরি আপনার মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় পৌঁছে যাবে বা আপনি যেই ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার দিবেন সেটা তে কিন্তু আপনার অনুদান পৌঁছে যাবে। আপনি সেটা তুলে সরাসরি ব্যবহার করতে পারবেন। আশা করি বুঝেছেন যে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া টা কি। আপনি কিভাবে অনুদান টা সরকার থেকে পাবেন অর্থাৎ আবেদন করার পর থেকে আপনার টাকা হাতে পাওয়া পর্যন্ত সমস্ত বিষয়টা আমি আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
ফরম কিভাবে পূরণ করবেন?
যারা গরীব, অসহায় মানুষ রয়েছে তারা কিন্তু উপবৃত্তি সরাসরি পাবনা। উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য প্রথম ধাপ হচ্ছে আমাদেরকে কিন্তু অবশ্যই একটি ফ্রম স্কুল থেকে নিতে হবে। স্কুল থেকে যখন উপবৃত্তির ফরম দেয়া হবে তখন সেই ফরমটি আমাদেরকে নিতে হবে এবং সেই ফ্রমটি আমাদেরকে পূরণ করে জমা দিতে হবে। ফরম পূরণ করার সময় অবশ্যই আমাদেরকে কে ভালো ভাবে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের সঠিক তথ্য গুলো রয়েছে। অবশ্য আমাদেরকে সঠিক তথ্যগুলোই দিতে হবে। যেমন আমাদের নাম দিতে হবে আমাদের যে সার্টিফিকেট অনুযায়ী বা জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী যে নামটি দেওয়া আছে সে নামটি আমাদেরকে দিতে হবে।
তারপর আমাদের ঠিকানা যেটা রয়েছে অরিজিনাল ঠিকানা সেটা আমাদেরকে দিতে হবে। আমাদের স্কুলের নামের ঠিকানা যেটা হয়েছে সেটাই আমাদেরকে দিতে হবে। তারপর আমাদের মোবাইল নাম্বার, আমাদের বাবার পেশা, আমাদের কোনো শারীরিক সমস্যা আছে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্ত কিছু আমাদেরকে শতভাগ সত্যতার সাথে পূরণ করতে হবে। আপনি খেয়াল করবেন আপনার কোন তথ্য যেনো ভুে না থাকে। উপবৃত্তি আবেদন করার সঠিক নিয়ম জেনে নিন।
কেননা আপনার যে স্কুল কর্তৃপক্ষ রয়েছে তারা কিন্তু আপনাকে ভেরিফাই না করে কিন্তু অ্যালাউ করবে না। স্কুল কর্তৃপক্ষ কিন্তু সমস্ত কিছুই জানে আপনার ব্যাপারে। অবশ্যই এগুলো একদম সঠিক হল পূরণ করবেন এবং পুরন করার পর আরো ভালোভাবে চেক করবেন সবকিছু ঠিক আছে কিনা। ভালোভাবে সবকিছু ঠিক আছে কিনা চেক করার পর আপনারা সেটা কি করবেন? এপ্লাই করে দেবেন। সমস্ত কিছু ভালো করে চেক করার পর আপনাদের শিক্ষকের নিকট আবেদন পত্রটি জমা দিয়ে দিবেন। তাহলে কিন্তু আপনাদের আবেদনটি কমপ্লিট হয়ে যাবে।
আমাদের শেষ কিছু কথা
উপবৃত্তি হচ্ছে মূলত গরিব-দুঃখী সাধারণ মানুষদের জন্য। আমরা যারা নরমাল মানুষ রয়েছি মোটামুটি ভাবে আমাদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে নিতে পারি এবং শারীরিক বা মানসিক ভাবে কোন সমস্যা নাই। তাদের জন্য মূলত কিন্তু উপবৃত্তির নয়। তো আমি রিকমেন্ট করব আমরা যারা এমন মানুষ রয়েছি তারা যেন উপবৃত্তির জন্য আবেদন না করি। প্রকৃতপক্ষে যারা গরীব দুঃস্থ অসহায় রয়েছে তারা যেন উপবৃত্তির জন্য আবেদন করে।
এটাই আমি রিকমেন্ট করব। কেননা আপনার যদি উপবৃত্তির জন্য এপ্লাই করেন তাহলে আপনার না পাওয়ার সম্ভাবনাটাই কিন্তু বেশি থাকবে। অবশ্যই আপনারা যারা প্রকৃতপক্ষে উপবৃত্তি পাওয়ার যোগ্য তাদেরকেই উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে উৎসাহিত করবেন। আমরা যারা উপবৃত্তি পাওয়ার যোগ্য নয় তারা যেন উপবৃত্তির আবেদন না করে এদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখব। আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আসসালামু আলাইকুম।