একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নির্দেশিকা ২০২২-২০২৩

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নির্দেশিকা ভর্তির নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সেটি শেয়ার করবা আজকের পোস্টে।

অনলাইন ভর্তির ক্ষেত্রে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ/সমমান শ্রেণিতে ভর্তি নির্দেশিকা

বাংলাদেশ আন্তঃ শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি

Website: www.xiclassadmission.gov.bd

ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড

সাধারণ নির্দেশনা

• গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সকল কলেজ/মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ/সমমান শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে (অনলাইন) আবেদন করা যাবে।

৮ ডিসেম্বর হতে ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখের মধ্যে একাদশ / সমমান শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে (অনলাইন) আবেদন করা

যাবে।

>একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি সংক্রান্ত সকল কার্যক্রমের সময়সূচি, ভর্তি নির্দেশিকা, আবেদনের নিয়মাবলী এবং ফলাফলের জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইট www.xiclassadmission.gov.bd এবং স্ব স্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও জানা যাবে।

> এই ভর্তি নির্দেশিকার যে কোন ধারা / নিয়মাবলীর সংশোধন, সংযোজন বা বাতিল করার অধিকার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ

সংরক্ষণ করে।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (কলেজ) মাদ্রাসা) আবেদনের জন্য ১৫০/- (সার্ভিস চার্জ ব্যতিত) আবেদন ফি প্রযোজ্য হবে। ইন্টানেটের মাধ্যমে আবেদনের জন্য বিকাশ /নগদ / রকেট/সোনালী ব্যাংক/উপায়/ ট্যাপ/ওকে ওয়ালেট -এর মাধ্যমে ১৫০/- টাকা প্রদান করতে হবে।

সর্বোচ্চ ১০টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করা যাবে তবে- একই প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিফট/ভার্সন/গ্রুপে আবেদন করা যাবে।

> ইন্টারনেটে (অনলাইন) আবেদনে শিক্ষার্থীর কোন তথ্য অসত্য, ভুল বা অসম্পূর্ণ বলে প্রমাণিত হলে তার আবেদন / চূড়ান্ত ভর্তি বাতিল করার অধিকার শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে।

আবেদনকারী শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী কোনো কোটার জন্য যোগ্য হলে, (অনলাইন) আবেদনের সময় তা যথাযথভাবে উল্লেখ করবে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভর্তির সময় যথাযথ ডকুমেন্টস দাখিল করবে। কলেজ নির্বাচনের সময় শিক্ষার্থীর (অনলাইন) আবেদনে উল্লেখিত কোটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিবেচিত হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভর্তির সময় কোটা সংক্রান্ত যথাযথ ডকুমেন্টস দাখিল করতে ব্যর্থ হলে ভর্তি বাতিল হবে।

প্রথমবার আবেদনের সময় শিক্ষার্থীকে নিজের/অভিভাবকের একটি মোবাইল নম্বর দিতে হবে, যেটি শিক্ষার্থীর Contact Number হিসেবে বিবেচিত হবে। Contact Number টি শিক্ষার্থীর জন্য অতীব গুরত্বপূর্ণ কেননা পরবর্তীতে শিক্ষার্থীর সকল যোগাযোগ ও আবেদনের জন্য কিংবা আবেদন সংশোধনের জন্য এই Contact Number টির প্রয়োজন হবে।

প্রয়োজনীয় অর্থ পরিশোধ করার সময় শিক্ষার্থী নিজের/অভিভাবকের যে Contact মোবাইল নম্বর প্রদান করেছেন সেটি সাবধানে এন্ট্রি করতে হবে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভর্তি সম্পর্কিত সকল তথ্য এই নম্বরে পাঠানো হবে। এই নম্বরের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়া অত্যাবশ্যক। অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর প্রদান করতে হবে এবং তাঁর (যাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর প্রদান করছেন) সাথে শিক্ষার্থীর সম্পর্ক উল্লেখ করতে হবে। ভর্তির সময় এন্ট্রিকৃত জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর যাচাই করা হতে পারে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (অভিভাবকের) এন্ট্রি করা থাকলে ভর্তি প্রক্রিয়া সহজতর হবে।

একাধিক শিক্ষার্থীর আবেদনে একই Contact Number ব্যবহার করা যাবে না অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষার্থীর Contact Number ভিন্ন ভিন্ন হতে হবে। Contact Number টি পরিবর্তন করা যাবেনা, তাই এক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যাতে এটি ভুল না হয়।

>> ইন্টারনেটে (অনলাইন) আবেদনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিফট / ভার্সন/গ্রুপ অনুযায়ী তার পছন্দক্রম সরাসরি ইনপুট দিতে পারবে (অর্থাৎ এন্ট্রি করতে পারবে) এবং সেই অনুযায়ী তার পছন্দক্রম বিবেচ্য হবে।

ফলাফল প্রদানের পূর্বে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (৮ ডিসেম্বর হতে ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২) ইন্টারনেটের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বার কলেজের পছন্দক্রম ও কলেজ পরিবর্তন করা যাবে। প্রথম পর্যায়ের আবেদনের তারিখ ৮ ডিসেম্বর হতে ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২। তবে প্রাথমিক নিশ্চায়নের পর আর কোন পরিবর্তন করা যাবে না।

>> ৩ (তিন) টি পর্যায়ে ভর্তির ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ করা হবে। একজন শিক্ষার্থীকে তার মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমানুযায়ী একটি মাত্র কলেজের জন্য নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থী নিজেই অন-লাইনে বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য ফি বাবদ ৩২৮/- (সার্ভিস চার্জ ব্যতিত) টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক ভর্তি নিশ্চায়ন করবে এক জন শিক্ষার্থী কলেজ নির্বাচনের পরবর্তী পর্যায় সমূহে (অনুচ্ছেদ ৬.১৫-এ বর্ণিত ভর্তির পূর্ব পর্যন্ত) স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাইগ্রেশনের জন্য বিবেচিত হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, মাইগ্রেশন সর্বদাই শিক্ষার্থীর পছন্দক্রমানুসারে উপরের দিকে যাবে।

১। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি যোগ্যতা ও গ্রুপ নির্বাচনঃ

১.১ ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে দেশের যে কোন শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে নীতিমালার অন্যান্য বিধানাবলি পূরণ সাপেক্ষে কোন কলেজ/সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ / সমমান শ্রেণিতে ভর্তির জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে। এছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলতি বছরে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য বছরের শিক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালী আবেদন করতে পারবে।

১.২ বিদেশি কোন বোর্ড বা অনুরূপ কোন প্রতিষ্ঠান হতে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক তার সনদের মান নির্ধারণের পর দফা (১.১) এর অধীনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে।

১.৩ একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি জন্য একজন প্রার্থী নিম্নরূপ-এ গ্রুপ নির্বাচন করতে পারবে, যথা:

i) সাধারণ শিক্ষা বোর্ড হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে:

(ক) বিজ্ঞান গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যে কোনটি। তবে বিজ্ঞান গ্রুপ হতে উত্তীৰ্ণ শিক্ষার্থী অন্য গ্রুপে একবার ভর্তি হওয়ার পর পরবর্তীতে আর বিজ্ঞান গ্রুপে প্রত্যাবর্তন করতে পারবে না;

(খ) মানবিক গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যে কোনটি এবং

(গ) ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক গ্রুপের যে কোনটি।

ii) মাদ্রাসা বোর্ড হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রেঃ

(ক) বিজ্ঞান গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞান, সাধারণ গ্রুপ ও মুজাব্বিদ গ্রুপের যে কোনটি;

(খ) সাধারণ গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সাধারণ গ্রুপ ও মুজাব্বিদ গ্রুপের যে কোনটি

(গ) মুজাব্বিদ গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সাধারণ গ্রুপ ও মুজাব্বিদ গ্রুপের যে কোনটি;

(ঘ) দাখিল (ভোক) গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের বোর্ডের বিজ্ঞান, সাধারণ গ্রুপ ও মুজাব্বিদ গ্রুপের যে কোনটি ।

iii) কারিগরি শিক্ষা বোর্ড হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রেঃ

(ক) এসএসসি (ভোক) / দাখিল (ভোক) গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যে কোনটি ।

iv) যে কোন বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী গার্হস্থ্য অর্থনীতি ও সংগীত গ্রুপ এর যে কোনটি ।

v) সকল বোর্ড এর সকল গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ইসলামিক স্টাডিজ -এ আবেদন করতে পারবে।

৩। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি মেধামান নির্ধারণঃ

৩.১ একাদশ/সমমান শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা- ২০২২ অনুসরণপূর্বক ভর্তির ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ ও মেধামান নির্ণয় করা হবে। আবেদনকারীদের বিভিন্ন কলেজ/মাদ্রাসা / সমমানের প্রতিষ্ঠানে আবেদন ঐ প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট গ্রুপ/শিফট / ভার্সন, আসন সংখ্যা, পছন্দক্রম এর ভিত্তিতে এবং নিম্ন বর্ণিত (ধারা-৩.২-৩.৪) নিয়মানুযায়ী মেধামান নির্ধারণপূর্বক একজন আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে শুধুমাত্র একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত করা হবে।

৩.২ কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৯৩% আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। ৫% আসন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এর অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ২% কোটা সংরক্ষিত থাকবে। উপর্যুক্ত কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে কোটার আসন কার্যকরী থাকবে না, অর্থাৎ উক্ত আসনে মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। যদি আবেদনকারী সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। ভর্তির সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী দপ্তর প্রধানের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজস্ব দপ্তরের প্রধান হলে সেক্ষেত্রে তাঁর একধাপ উপরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী যে মহানগর / বিভাগ/জেলায় কর্মরত থাকবেন তার সন্তান সে মহানগর / বিভাগ/জেলায় ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের

সনাক্তকরণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সনদ দাখিল করতে হবে। যে সকল শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তারা সংশ্লিষ্ট বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান/বি.কে.এস.পি. থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী/ খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় বা জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই বাছাই পূর্বক শিক্ষার্থীকে কাঙ্খিত প্রতিষ্ঠানে (প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত নুন্যতম জিপিএ থাকা সাপেক্ষে) ভর্তির ব্যবস্থা নিবে। এ ধরনের শিক্ষার্থীরা, যারা ম্যানুয়ালি আবেদন করবে তারা একইসাথে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে ইন্টারনেটেও আবেদন করতে পারবে।

৩.৩ (ক) এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-র ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে।

(খ) সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্ষেত্রে প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করা হবে। তাছাড়া বিভিন্ন সালের গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করা হবে।

(গ) বিজ্ঞান গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত/ জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনা হবে।

(ঘ) দফা গ এর বিধান সত্ত্বেও যদি প্রার্থী বাছাইকল্পে উদ্ভূত জটিলতা নিরসন না হয়, তবে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়নে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনা হবে।

(ঙ) মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনা হবে।

(চ) এক গ্রুপের প্রার্থী অন্য গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে জিপিএ একই হলে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইকরে উদ্ভূত জটিলতা নিরসন না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনা

হবে।

৩.৪ স্কুল এন্ড কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে স্ব স্ব বিভাগে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব বিভাগে ভর্তি নিশ্চিত করেই কেবল অবশিষ্ট শূণ্য আসনে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ধারা ৩.০ এর উপবিধান (৩২) ও (৩.৩) অনুসরণ করে শিক্ষার্থী ভর্তি

করানো যাবে।

৪। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ, প্রকাশ এবং মাইগ্রেশনঃ

মোট ৩ (তিন) টি পর্যায়ে ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ করা হবে। প্রাথমিক নিশ্চায়ন সাপেক্ষে কলেজ নির্বাচনের পরবর্তী পর্যায় সমূহে (অনুচ্ছেদ ৬.১৫ -এ বর্ণিত ভর্তির পূর্ব পর্যন্ত) স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া চালনা করা হবে অর্থাৎ প্রাথমিক নিশ্চায়নের পরও একজন শিক্ষার্থীর কলেজ নির্বাচন পরিবর্তন হতে পারে। প্রতি পর্যায়ে পছন্দক্রমানুযায়ী অটোমাইগ্রেশন হবে এবং মাইগ্রেশন সর্বদাই পছন্দক্রমানুসারে উপরের দিকে যাবে।

একজন শিক্ষার্থী তার আবেদনের সময় দেয়া কলেজ পছন্দক্রম ও এসএসসি/সমমান পরীক্ষার ফলাফল, কোটা ইত্যাদির ভিত্তিতে শুধুমাত্র ১টি কলেজেই সিলেকশন পাবে।

নির্বাচিত শিক্ষার্থী নিজেই অনলাইনে বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য ফি বাবদ ৩২৮/- (তিন শত আটাশ) টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক ভর্তি নিশ্চায়ন করবেন। উল্লেখ্য যে, প্রত্যেক নির্বাচিত শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ৩২৮/- (তিন শত আটাশ) টাকা জমা দিয়ে ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে। অন্যথায় শিক্ষার্থীর Selection ও আবেদন বাতিল হবে। আবেদন বাতিলকৃত শিক্ষার্থী ইচ্ছা করলে পরবর্তী পর্যায়ের জন্য পুনরায় আবেদন ফি জমা দিয়ে নতুন ভাবে আবেদন করতে পারবে।

যে সকল শিক্ষার্থী আবেদনকৃত কোন কলেজেই সিলেকশন পাবে না তারা পুনরায় আবেদন ফি ব্যতীত এবং যারা ইতিপূর্বে কোন কলেজেই আবেদন করে নাই তারা আবেদন ফি জমা দেয়া সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবে।

ফলাফল প্রক্রিয়াকরণের পর নির্দিষ্ট তারিখে শিক্ষার্থীদেরকে SMS-এর মাধ্যমে ফলাফল জানানো হবে । তাছাড়াও শিক্ষার্থীগণ ভর্তির ওয়েবসাইট www.xiclassadmission.gov.bd থেকে ভর্তির বিস্তারিত ফলাফল জানতে পারবে।

৫। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি:

নির্ধারিত তারিখে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা ভর্তি ওয়েবসাইট www.xiclassadmission.gov.bd দেয়া হবে এবং সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ ডাউনলোড করে তা নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শন করবেন। অতঃপর ভর্তির জন্য নির্ধারিত তারিখে শিক্ষার্থী কলেজে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও অনুমোদিত ফি জমা দিয়ে ভর্তি হবে এবং কলেজ ভর্তির চূড়ান্ত নিশ্চায়ন করবে।

৬। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদন, ফল প্রকাশ ও ভর্তির সময়সূচি

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদন, ফল প্রকাশ ও ভর্তির সময়সূচি
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদন, ফল প্রকাশ ও ভর্তির সময়সূচি
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদন, ফল প্রকাশ ও ভর্তির সময়সূচি
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদন, ফল প্রকাশ ও ভর্তির সময়সূচি

সকল বোর্ডের ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা প্রথম পত্রের নৈবিত্তিক এর সমাধান ২০২২

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলের সাথে যুক্ত থাকতে পারেন।

Categories Uncategorized

Leave a Comment

x